নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পর এটা বাতিলের কোনো সুযোগ থাকছে না। তবে আদালত আদেশ দিলে সিটি নির্বাচনের ফলাফল যেকোনো সময় বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো: আলমগীর হোসেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে গতকাল বুধবার তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। তবে আদালত এটা করতে পারেন যে, কেউ যদি চায়, আদালত পর্যন্ত যেতে পারেন। তখন আদালত যদি কোনো আদেশ দেন নির্বাচন কমিশনকে, সেটি আমরা দেখব। তিনি বলেন, ইভিএমে যা ভোট প্রকৃতপক্ষে দিয়েছে, ঠিক সেটিই পড়েছে। কারণ এখানে অতিরিক্ত ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আঙুলের ছাপ ও আইডি কার্ড ছাড়া যেহেতু ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই, তাই ভোটারকে অবশ্যই ফিজিক্যালি যেতে হয়েছে। ভোটার কেন্দ্রে না গেলে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ভোটার সংখ্যার চেয়ে ভোট বেশি পড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে মো: আলমগীর বলেন, একজন ভোট দিতে যাননি, অথচ তার ভোটটি পড়েছে এ রকম কোনো ঘটনা নেই। এমনটি কেউ প্রমাণও করতে পারবে না। ইভিএম সিস্টেমে ভোটার না এলে ভোট দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইভিএমের যে কারিগরি দিক রয়েছে, তাতে এটা সম্ভব নয়। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার এক শতাংশের বেশি ভোটে নিজের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করার অভিযোগের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, কমিশনের কাছে এ ধরনের কোনো অনুরোধ আসেনি। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছেও এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে দুইটা-একটা কেন্দ্রে হয়তো এটা করতে পারে। এখানে ভোটার আছে ৪০০, সেখানে চারজনের বেশির আঙুলের ছাপ মিলছে না। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, এক শতাংশের বেশি অনুরোধ কোথাও কোনো কেন্দ্রে এসেছে কি না? তারা বলেছেন, আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৪ জানুয়ারি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হয়েছে। তবে ঢাকা দক্ষিণের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদের ফল স্থগিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: আবদুল বাতেন।